টেন্ডারবাজিতে সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো – শাহ নিজাম

10
টেন্ডারবাজিতে সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো - শাহ নিজাম

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রাজণৈতিক অঙ্গন। বিশেষ করে চেয়ারম্যান পদে মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম উদ্দিন ও শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনুর অনড় অবস্থানের কারণে বেশ বিপাকে পড়েছেন খোদ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সদর উপজেলার আওতাধীন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অনুরোধে সিদ্ধান্তের দায়িত্বভার নিজ কাধে নেন শামীম ওসমান। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদল ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহাসহ উপস্থিত আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীবৃন্দ।

শামীম ওসমান দায়িত্বভার নেয়ার পর দু প্রার্থীই কিছুদিন নিরবে নির্বাচনী কার্যকলাপ পরিচালনা করলেও সম্প্রতি মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর নানা মন্তব্য করেন শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু। তার দেয়া বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হলে এ প্রতিনিধির সাথে খোলামেলা কথা বলেন শাহ নিজাম।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম উদ্দিন বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম, কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে যে, কোনো টেন্ডারের বিষয়ে শাহ নিজামের সম্পৃক্ততা আছে তাহলে রাজনীতির ইতি টেনে রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করবো। নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানে কারা টেন্ডারবাজিতে জড়িত। নারায়ণগঞ্জটা ছোট, সবাই সবার অতীত জানি, কে কি ছিলাম, কে কি হইছি, অতীতটা কারো কাছে অজানা নয়।

জমি দখলের বিষয়ে শাহ নিজাম বলেন, আমি শতভাগ কনফিডেন্ট ২০ শতাংশ তো দুরে থাক, ২০ পয়েন্ট জায়গাও কারো কাছ থেকে দখল করার কোনো ইতিহাস নেই। এই ২০ শতাংশ জায়গা নিয়ে যারা বলছে, তারা নতুন কোনো ধান্ধা করতে গিয়েছে কিনা, কিংবা সেখান থেকে সুবিধা নিতে গিয়েছে কিনা, কিংবা সুবিধা নিতে গিয়ে বঞ্চিত হওয়ায় তাদের আতে ঘা লেগেছে কিনা সেটা সময় আসলে সঠিক তথ্য ও প্রমাণের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।

শাহ নিজামের ফেসবুক স্ট্যাটাসে শামীম ওসমানের সাথে যারা বেঈমানী করেছে তাদের বিষয়ে বলা হয়েছিলো। কারা বেঈমানী করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ নিজাম বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সাথে কারা বেঈমানী করেছে, তা ভালো করেই জানে নারায়ণগঞ্জবাসী ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের প্রবীণ ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই আপনারা পাবেন, কেননা এটা প্রকাশ্য ও প্রমাণিত হয়েছে বারবার। স্পেসিফিক ভাবে কারো নাম আমি বলতে চাই না, যারা বেঈমানী করেছে কিংবা বেঈমানী করে তাদের থেকে আবারও সবাইকে সাবধানে থাকতে বলছি।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কারণ আমরা যারা শামীম ওসমানকে ভালোবাসি, তারা চাইনা ঐ বেঈমান কিংবা প্রতারকদের কারণে শামীম ওসমানের কোনো ক্ষতি হোক। কেননা শামীম ওসমানের কোনো ক্ষতি হলে শুধু শামীম ওসমানই ক্ষতিগ্রস্থই হবেন না, নারায়ণগঞ্জের মিনিমাম ২০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ২০ হাজার পরিবারের নিরাপত্তার প্রয়োজনে তাদেরকে চিহ্নিত করা সকলের দায়িত্ব।

নারায়ণগঞ্জের হকার ইস্যুতে বারবার হেলালের নাম চলে আসে এই বিষয়ে শাহ নিজাম বলেন, যে সকল পত্র-পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে, তারা যদি অথেনটিক লিখে থাকে তাহলে সেটা সত্য। আর যদি অথেনটিক তথ্য না থাকে তাহলে তাদের লেখা ঠিক হয় নাই। আমার মনে হয় না রুচি এতো নীচে। তারপরে বাকীটা জানি না।